নাগরিক পঞ্জির খসড়ায় প্ৰকৃত ভারতীয়দের নাম তুলতে প্ৰতিশ্ৰুতিবদ্ধ কেন্দ্ৰ ও রাজ্যঃ রাজনাথ সিং

নাগরিক পঞ্জির খসড়ায় প্ৰকৃত ভারতীয়দের নাম তুলতে প্ৰতিশ্ৰুতিবদ্ধ কেন্দ্ৰ ও রাজ্যঃ রাজনাথ সিং

নয়াদিল্লিঃ অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি(এনআরসি)নবায়নে কোনও রকম বৈষম্য অথবা হয়রানি করা হবে না। স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী রাজনাথ সিং শুক্ৰবার রাজ্যসভায় এই আশ্বাস দেন। তিনি ফের উল্লেখ করেন,গোটা প্ৰক্ৰিয়াটি পরিচ্ছন্ন ও স্বচ্ছভাবে করা হয়েছে। তিনি বলেন,বিরোধীরা বিষয়টি কিছুতেই বুঝতে চাইছে না। খসড়া থেকে প্ৰাক্তন বিধায়ক,প্ৰতিরক্ষা আধিকারিক ও বিশিষ্ট পরিবারের লোকসহ ৪০ লক্ষাধিক মানুষের নাম কেন বাদ পড়ল,বিরোধীরা তা নিয়ে প্ৰশ্ন তুলছেন। এব্যাপারে সরকারের ভবিষ্যৎ কর্মপস্থা কী সেটাও জানতে চেয়েছেন বিরোধীরা। ইস্যুটি নিয়ে গত কটা দিন তৃণমূল কংগ্ৰেস সহ বিরোধীদের প্ৰতিবাদের জেরে রাজ্যসভার কাজকর্ম পণ্ড হয়। মুলতুবি রাখতে হয় সভা। তবে শুক্ৰবার ইস্যুটি নিয়ে রাজ্যসভায় সংক্ষিপ্ত আলোচনাকালে বিরোধীদের প্ৰশ্নের জবাবে রাজনাথ বলেন,খসড়ায় প্ৰকৃত ভারতীয়দের নাম তুলতে কেন্দ্ৰ ও রাজ্য সরকার প্ৰতিশ্ৰুতিবদ্ধ।

রাজনাথ বলেন,‘ন্যস্ত স্বার্থান্বেষী’ কিছু লোক এনআরসি সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল তথ্য প্ৰচার করে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে এবং তারা পুরো বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাইছে। এমনটা করা অনুচিত-বলেন সিং। ‘আমি আবারও বলছি,এটা চূড়ান্ত এনআরসি নয়। এনআরসি-র একটা খসড়া মাত্ৰ। এনআরসিতে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য দাবি ও ওজর আপত্তি জানানোর পর্যাপ্ত সুযোগ থাকছে। তালিকায় কারো নাম না থাকলে সেই ব্যক্তি বিদেশি ট্ৰাইবুনালের দ্বারস্থ হতে পারবেন’-বলেন রাজনাথ। তিনি আশ্বাস দিয়ে আরও বলেন,কোনও পরিস্থিতিতেই কারো বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে না। পুরো প্ৰক্ৰিয়াটি সুপ্ৰিমকোর্টের নির্দেশ ও তত্ত্বাবধানে চলছে। ২০০৫ সালে তদানীন্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী মনমোহন সিং ও আসুর মধ্যে বৈঠকে এনআরসি নবায়ন প্ৰক্ৰিয়া সম্পর্কে প্ৰথম পদক্ষেপ নিয়েছিল। এরপর ১৯৮৫ সালে তদানীন্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী রাজীব গান্ধী আসুর সঙ্গে অসম চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। এদিন রাজ্যসভায় এই বক্তব্যের মাধ্যমে রাজনাথ নাগরিক পঞ্জি নবায়নে দুই প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী মনমোহন সিং ও রাজীব গান্ধীর অবদানের কথা স্বীকার করে নেন।

Top Headlines

No stories found.
Sentinel Assam
www.sentinelassam.com