BreakingNews

বিশ্বকাপ ২০১৮: গ্ৰুপ বিশ্লেষণ, গ্ৰুপ-G

Sentinel Digital Desk

বেলজিয়াম

সেমিফাইনালে খেলেছিল ১৯৮৬ সালে। বেলজিয়ামই প্ৰথম ইউরোপীয় দেশগুলির একটি যারা রাশিয়ায় খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। ফুটবলের ময়দানে সাফল্যের জন্য যা যা গুণ থাকা দরকার তার সিংহভাগই রয়েছে দলে। আটোঁসাটো প্ৰতিরক্ষা,মিডফিল্ডে মেধাও রয়েছে তাদের। এডেন হেজার্ড ও ড্ৰাইস মার্টেনস-এর মতো স্ট্ৰাইকার রয়েছেন দলে। স্প্যানিস কোচ রবার্টো মার্টিনেজ দলের ক্ৰীড়া শৈলিতে কতটা নৈপুণ্য রেখেছেন তার ওপর নির্ভর করছে দলের সাফল্য। দলের তারকা খেলোয়াড় হলেন কেভিন ডি ব্ৰুনি,যিনি ইউরোপের একজন সেরা ফুটবলার হিসেবে পরিচিত। হেজার্ড সেরাটা উজাড় করে দিতে পারলে বেলজিয়াম অনেকটাই আশা রাখতে পারে। ২০১৪ সালে দল কোয়ার্টার ফাইনাল অব্দি পৌঁছবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেই আশা ক্ষীণ।

ইংল্যান্ড

১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড। ম্যানেজার শেম অ্যালার ডিসিকে খোয়ানোর পর ইংল্যান্ড দল ফের গড়ে ওঠে গারেথ সাউথগেটের তত্ত্বাবধানে। স্ট্ৰেইট ফরোয়ার্ড গ্ৰুপে সহজেই কোয়ালিফাই করে বিশ্বকাপে খেলার ছাড়পত্ৰ পায়। দলে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের খামতি রয়েছে। ইংল্যান্ডের তারকা খেলোয়াড় হ্যারি কেন,যিনি গত তিনটি সিজনের প্ৰত্যকটিতে ৩০টি করে গোল করেছেন। তিনি এমন একজন খেলোয়াড় যার বিকল্প ইংল্যান্ডে হয় না। দল শেষ আটে পৌঁছতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যাচ্ছে।

টুনিসিয়া

গ্ৰুপ পর্যায়ে সেরা খেলছে ১৯৭৮,১৯৯৮,২০০২ ও ২০০৬ সালে। আফ্ৰিকান কোয়ালিফিকেশনে অপরাজিত থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলা শেষ করেছিল টুনিসিয়া। সব আফ্ৰিকান কোয়ালিফায়ারের মধ্যে টুনিসিয়ার জনপ্ৰিয়তা তলানিতে। দলের বেশিয়ভাগ খেলোয়াড় ঘরোয়া খেলায় অভ্যস্ত। কেউ কেউ আবার ইউরোপের দ্বিতীয় সারিব ক্লাবে খেলছেন। দলে আস্থারও অভাব রয়েছে। মিড ফিল্ডার ওয়াবি খাজরি সুপারিশ করেছেন দলের রাশিয়া যাওয়াই উচিত হবে না। দলের তারকা খেলোয়াড় মার্সেলি।

পানামা

পানামার এটাই প্ৰথম বিশ্বকাপ। কনকাকাফের উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে কোস্টারিকার বিরুদ্ধে জয় তুলে নাটকীয়ভাবেই তারা রাশিয়ায় যাওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করে। দলে ব্যক্তিগত তারকা খেলোয়াড় নেই। সমষ্টিগত সাফল্যের উপর নির্ভরশীল দল। দলের সাফল্যের সম্ভাবনা ধরাছোয়ার মধ্যে নয়।